নভোচারীরা মহাকাশে কিভাবে জীবন যাপন করে। ----Al Hadi

 



আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা আজকে আলোচনা করব  মহাকাশের ইন্টারন্যাশনাল স্পেস সম্পর্কে যেখানে থাকে নবচারীরা থাকে এনং তাদেরকে  সেখানে একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মাফিক প্রতিদিন পার করতে হয় আমরা কতটাই বা জানি তাদের এই জীবন যাত্রা সম্পর্কে তাদের সেই অজানা জীবনযাত্রার কাহিনী নিয়ে আলোচনা করব আজকে। বন্ধু রা ISS কৃতিম উপগ্রহ সম্পর্কে ISS মানেই হলো international space স্টেশন. আমাদের পৃথিবী থেকে দুইশো পঞ্চাশ মাইল উপরের কক্ষপথে ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল স্পেসিস্টেশন নামের সবচেয়ে বড় এই কৃতিম উপগ্রহটি. 

আর এর মাঝে রয়েছে অনেক কর্মচারী. যারা দিনরাত খেটে চলেছে মহাকাশ গবেষণায় ও এর নির্মাণ কাজে এর নির্মাণ শুরু হয়েছিল উনিশশো আটানব্বই সালের মার্চে পৃথিবী থেকে খালি চোখের মাঝে মাঝে এই গ্রহটিকে দেখা যায়. লাইফ সাফার সিস্টেম, ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম এবং গৃহস্থলীর খুঁটিনাটি সবই আছে এতে. নবচারীদের শুভ সকাল বা রাত বলে কোনো কথা হয় না এই স্পেস স্টেশনে. কারণ চব্বিশ ঘন্টায় সেখানে সূর্যস্ত ও সূর্যোদহে অনেকবার. তাই তাদেরকে নিয়মিত একটা নির্দিষ্ট সময় অনুসারে ঘুমাতে হয় ও ঘুম থেকে জাগতে হয়. সকালে উঠেই প্রথমে সোজা দাঁত ব্রাশ করা. পানির সঠিক ব্যবহার ও মেপে মেপে পানি ব্যবহার করতে হয় তাদেরকে. তাই পানি বাঁচানোর জন্য তাদের পেস্ট বিশেষ ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে করে আর মুগ্ধ অর্জন ও পানি ব্যবহার করতে হয় না. গোসল করার শ্যাম্পুটাও একই রকম. গোসল করতে হয় water jet প্রযুক্তিতে সেখানে মহাকাশের শক্তি তাই মাথায় পানি ঢাললেও তার নীচে পড়বে না. এই জন্যই পানি ঝরে মারতে jack ব্যবস্থা. এই কারণে সামান্য রাখা হয় পেস্টের মতো tube এ. 

সকালের নাস্তা ও কাজের জন্য রেডি হওয়া সকালের বাথরুম শেষ করে চলে আসতে হয় নাস্তা খাওয়ার জন্য কক্ষপথে ঘুরতে থাকা স্টেশনটিতে ডাইনিং রুম ও টেবিলের ব্যবস্থা করা আছে. এই সকালে নাস্তাটা নবজারিতের পছন্দ অনুসারে দেওয়া হয়. মহাকাশে আসার আগেই নিয়ে আসে. তবে অনেক কষ্ট করে খেতে হয় এসব খাবার. কারণ ওখানে আমাদের মত আকর্ষণ শক্তি নেই. তাই আংশিক তরল খাবার খেতে হয় টিউব টিপে টিপে. 

আর হিমায়িত খাবার প্লাস্টিক কন্টেনার কেটে. সাধারণত ফলজাতীয় খাবারই বেশি খাওয়া হয়. তারা কাজে যাওয়ার আগে কমলা রঙের বিশেষ ধরনের পোশাক পরে নবচারীরা. যখন তারা ISS এর মধ্যে থাকে তখন এই ধরনের কাপড়. আর যখন বাহিরে গিয়ে কাজ করে তখন এর সাথে বিশেষ হেলমেটও পরে নিতে হয়. আর এর ভিতরে যে কেউ যে কোন পোশাক পরে ঘোরাফেরা করতে পারে. কিন্তু এখানে কাপড় নিয়ে একটা সমস্যা  আছে. সমস্যাটা হলো কাপড় পাল্টানো এক কাপড় নবচারীদেরকে টানা দশ দিন পড়ে থাকতে হয়. শীত লাগলে দুটো করে সোয়েটার পরতে দেওয়া হয়. সঙ্গে ওলের মজা আর সেই মজা পড়তে হবে পাক্কা এক মাস আপনাদের মনে হয়তো প্রশ্ন জাগতে পারে এতদিন কাপড় পড়লে কাপড় ময়লা হয় না।বন্ধু রা ময়লা হয় না কারণ সেখানে তো কোনো ময়লা নেই তাহলেই কি করে কাপড় ময়লা হবে তবে যন্ত্রপাতির কারণে যদি কাপড় ময়লা কিংবা নষ্ট হয় তার জন্য রয়েছে সমাধান. পুড়িয়ে ফেলা স্টেশন থেকে ফেরার পথে বায়ুমণ্ডলের ময়লা কাপড়গুলো ছেড়ে দেওয়া হয় বাতাসের সঙ্গে প্রচণ্ড গতির ঘর্ষণে মুহূর্তেই পুড়ে ছাই হয়ে যায় নোংরা কাপড়.

 প্রতিদিন এখানে কমপক্ষে দশ ঘণ্টা করে কাজ করতে হয় তাদের. এই দশ ঘণ্টার মধ্যে আসে য়খানা স্টেশনের কম্পিউটারের উঁকি দেওয়া. ফিল্টার সাফ করা কম্পিউটার আপডেট ও বিভিন্ন যন্ত্রপাতি মেরামত করা. সাপোর্ট সিস্টেম কেমন চলছে? তার ওপর কড়া নজরদারি রাখা. পৃথিবীর সাথে সব সময় যোগাযোগ ব্যবস্থা সচল রাখা. ISS এর যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ করা সহ অসংখ্য কাজ করতে হয়. এবং নিজেদের শরীরের দিকেও খেয়াল রাখতে হয় তাদের. 



ঘুম এলে  এদিক সেদিক ছুটি করে খানিকটা ব্যাম করে নেন তারা. দৌড়ঝাঁপের জন্য ভালোই জায়গা আছে এখানে. বিশেষ করে হাড়, মাংসপেশি, সতেজ রাখতে নিয়মিত ফ্রি hand কিছু ব্যায়াম করতে হয় তাদেরকে. মহাকাশযানে মধ্য শক্তি নেই. আর এটা যেন মহাকাশচারীদের একেবারে শিশু বানিয়ে দেয়. বাচ্চাদের মতো বিভিন্ন মজা করে থাকেন তারা. কেউ মাছের মতো শূন্যে সাঁতার কাটেন. কেউ মেঝে থেকে দেওয়ালের চক্রাকারে দাঁড়ান. মগের সবটুকু কফি শূন্যে ঢেলে দিয়ে বাতাস থেকে কফি খান এক গাদা ক্যান্টি শুন্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখে পরে হা করে একটা একটা মুখে নেন. কেউ বা ভেসে ভেসে বই পড়েন.

 মহাকাশ যেন ককপিটে বসে কমান্ডার ও ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারের অন্যতম কাজ হচ্ছে বিটে গেম খেলা. গেম গুলো তাদের জন্যই বিশেষ ভাবে তৈরি. মহাকাশযানের সফল ল্যান্ডিং কি করে করবেন? তা ওই সেমিলেশন গেম খেলে খেলেই রপ্ত করেন তবে এখানে সবচেয়ে বড় বিনোদন হচ্ছে জানালা দিয়ে মিনিটের পর মিনিট বাইরের দৃশ্য দেখা. কক্ষপথে প্রতি নব্বই মিনিটে একবার সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় দেখা যায়. দুই সময় পৃথিবীর গায়ে দুই ধরনের আলো ছায়ার ঢেউ তৈরি হয়. উপর থেকে উঠে নাকি সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য, কেউ আবার গল্পে ব্যস্ত. দাবা খেলো বাদ পড়ে না মহাকাশে. এইসব ছাড়াও বই সিনেমা গান তো আছেই. মাঝে মাঝে স্টেশনের এক মাথা থেকে অন্য মাথা পর্যন্ত দৌড়ে বেড়ান. কে কত কম সময়ে ককপিট থেকে space station এ let ছুঁতে পারবে এমন প্রতিযোগিতাও হয় এখানে. এই প্রতিযোগিতায় উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় ওজনশূন্য পরিবেশ. কারণ পৃথিবীর মতো গায়ের জোর বেশি হলেই হবে না. জানতে হবে শূন্যে বেশি থেকে এগিয়ে যাওয়ার কৌশল. এবার আসি মহাকাশের রান্না বানা নিয়ে. এরকম অভিযানে থাকে rehaichable packaging ব্যবস্থা. যাতে সামান্য পানি মিশিয়ে ওভেনে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে খাবার. অন্যদিকে  শাটল মহাকাশযানগুলোর মাঝ বরাবর থাকে রান্নার ব্যবস্থা.

 সেখানে পানি মজুত থাকে. শুকনো খাবারকে পানি দিয়ে কিছুটা তরল করা হয়. তারপর গরম করা হয় ওভেনে. রান্না বান্নার কাজ চলছে স্পেস স্টেশনে তিন ধরনের খাবার রয়েছে. প্রতিদিনের খাবারই হলো ডেইলি মেনু. এখানে শাকসবজির ডেজারজাতীয় খাবার থাকে. আঠাশ দিন অভিযানের খাবার মেনু বাসা এক করে রাখতে পারেন. বাসের সময় নতুন খাবার যোগ করতে পারেন ও বাদ দিতে পারেন ডেইলি menu সাধারণত disposable packet এ থাকে. ফলে এখানে থালা বাসন দেওয়ার কোনো ঝামেলাই নেই. একটি প্যাকেটে একটি item কিংবা কোনো ডেসার্ট. আর ফলরুটি দুধ থাকে বড়ো প্যাকেজে. স্পেস স্টেশনের নবচারীরা ঘুমায় কিভাবে? আগেই বলা হয়েসে এখানে সকাল বা রাত বলে কোনো কথা হয় না. কেননা চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে ও সূর্যোদয় অনেকবার তাই একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমিয়ে নেন সবাই, শূন্যে বেশ আয়েশ করে ঘুমান তারা, মজার ব্যাপার হচ্ছে মহাকাশের নাক ডাকার কোনো আশঙ্কাই নেই মধ্য আকর্ষণ না থাকায় মহাকাশে কেউ চাইলেও নাক ডাকতে পারবেন না. অনেক খাটাখাটুনির পর কাজ শেষ করে নৌচয়ীরা যখন ফিরে আসে, তখন তাদের চোখে মুখে থাকে রাজ্যের ক্লান্তি.

 তারা চায় একটু অবসর আর বিশ্রাম. এই সময় তারা কিছুক্ষণের জন্য হারিয়ে যায় অজানাই. আর চেষ্টা করে দেহের সকল balance ঠিক রাখতে. তারা এই ফাঁকে এক কাপ গরম চা, অথবা ঠান্ডা পানি পান করে থাকে. এই হলো মহাকাশ নবচারীদের জীবনযাপনের কাহিনী সত্যিই এক এডভেঞ্চার পূর্ণ জীবন সেখানে আবার এর সাথে রয়েছে জীবনের চরম অনিশ্চয়তাও তবু তারা ভালোবাসে এই কাজকে. আর ভালবাসে শূন্যে ঘুরে বেড়াতে. বন্ধু রা কেমন লাগলো আজকের আয়োজন? ভালো লেগে থাকলে সেয়ার করুন, আল্লাহ হাফেজ। 


প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ


Post a Comment

0 Comments