আমাদের এই পৃথিবী অনেক অনেক বড় কিন্তু আমাদের কাছে পৃথিবী অনেক বড় হলেও মহাবিশ্বের মাঝে আমাদের পৃথিবীর ক্ষুদ্র বালুকণা মতো। এই পৃথিবীর মধ্যে আমরা হাজারো লাখো কোটি মানুষ বসবাস করি আমরা সব মানুষ এক সমান নয় কেউ আছে লম্বা কেউ আছে বাটি কেউ আবার মোটা কেউ চিকন। আমাদের পৃথিবীতে যুগে যুগে অনেক লম্বা মানুষ এসেছে আবার মৃত্যুবরণ করে চলে গেছে আজ এমন সমস্ত লম্বা মানুষদের মধ্যে একজন মানুষের কাহিনী আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
এমনিতে তো আপনারা অনেক কাহিনীর সাথে সাথে বলিউড এবং হলিউডের সিনেমাতেও এমন অনেক সমস্ত চরিএ দেখে থাকবেন যারা ভীষণভাবে শক্তিশালী এবং অনেক লম্বা হয়ে থাকে. এতটাই লম্বা যে তাদের সামনে একজন মানুষ তো দূরের কথা, বড় বড় পাহাড়কেও খুবই নগণ্য মনে হয়. দত্ত দানবের মতো দেখতে এই গুলো সাধারণ মানুষদেরকে একমুঠিতে করে উঠিয়ে নিয়ে উসলে দিয়ে থাকে. কিন্তু আপনারা এই সমস্ত জিনিসগুলোকে এর আগে পর্যন্ত কোন সিনেমাতে বা কোন মুভিতে কিংবা কোন কাহিনীতে শুনেছিলেন.
কিন্তু আজকে একটি এমন দানবীয় মানুষের সম্বন্ধে জানবো যে সত্যই এত লম্বা ছিল যে যদি সমুদ্রে খাড়া হয়ে দাঁড়িয়ে যেত তবুও ডুবতো না বরং তাহার জন্য একথাও প্রচলিত আছে যে সে তে নেমে নিজের হাতে করে মাছ ধরে উপরে উঁচু করে সূর্যের তাপে সে মাছ কে পুড়িয়ে খেত.
হ্যাঁ আমরা কথা বলছি ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তি. মানে আজ বিন অনাথ এর সম্বন্ধে. আজ বিন অনাথ তো শুধুমাত্র একজন ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা ব্যক্তি ছিল. বরং এর সঙ্গে সঙ্গে সে তিন হাজার পাঁচশো বছর পর্যন্ত একটি জীবনও পেয়েছিল. মানে সে সাড়ে তিন হাজার বৎসর পর্যন্ত বেঁচে ছিল. ঐতিহাসিকদের বই থেকে পাওয়া গিয়েছে যে, এই ওয়াজ বিন ওয়ানাক হযরত আদম আলাইহি সাল্লাম থেকে নিয়ে হযরত মুসা আলাইহি সালাম পর্যন্ত বেঁচে ছিল.
হযরত নূর আলেহী সালামের সময়ে যখন এই দুনিয়াতে সেই ভয়ঙ্কর তুফান এসেছিল, যেই তুফানেও আজ বিন অনাথ নামের এমন এক ব্যক্তি ছিল যে, হজরত নূহ আলাইহি সালামের নৌকাতে না উঠেও বেঁচে ছিল. মানে এই তুফানেও সে ডুবে মারা যায়নি. যদি ওই কথা মেনে চলা হয়, তাহলে এর বাবার নাম অনাথ. এবং মায়ের নাম ছিল সোফুরা. কিন্তু দোস্ত, যেখানে একদিকে আসমানী কিতাব প্রাপ্ত খ্রিস্টান এবং ইহুদি ধর্মের মানুষজন এই অজভিন অনাকের কাহিনীকে খুব সৌখিন ভাবে পড়ে থাকেন.
সেইখানে বেশিরভাগ অমুসলিমই অজবিন অনেকের কাহিনীকে ভ্রান্ত বলে উড়িয়ে দিয়ে থাকেন. আর সঙ্গে সঙ্গে তারা এটিও বলে থাকেন যে আজমিন অনেকের সম্বন্ধে যতগুলো কাহিনী শোনানো হয়ে থাকে সেই সমস্ত কাহিনী কাল্পনিক এবং মন গড়া. আর অজবিন অনেক নামের কোনো ব্যাক্তি এই পৃথিবীতে ছিলই না. কিন্তু এই ওয়াসবিন অনাকের সম্বন্ধে এমন ধারণা মানুষজন কেন পোষণ করে থাকেন, কিন্তু বিন অনেকের সম্বন্ধে জুড়ে থাকা যে Historical কাহিনীকে বইগুলিতে সবচেয়ে বেশি মেনশন করা হয়ে থাকে.
আর সেটি হলো এমন নয়. যখন হজরত নিজের কম বনি ইসরাইলকে মিশরের সবচেয়ে শয়তান বাদশা ফিরাউন এর কাছ থেকে মুক্তি পাইয়ে দিলেন. তাহার পর আল্লাহ সুভানাল্লাহ তালার পক্ষ হইতে বাণী ইসরাইলের ওপর এমনটি আদেশ করা হয়েছিল যে, তারা যেন জিহাদ করে এবং সামদেশকে মুক্ত করে. যেখানে সেই কমরা অবস্থান করছে. এই জন্যই মুসাল্লাহি সালাম সাম দেশকে জয় করার জন্য মনস্থির করলেন. মুসাল্লাহি সাল্লাম সর্বপ্রথম নিজের যে বারোটি কাবিলে ছিল সেই কাবিলের মধ্যে একজন করে বিশেষ ব্যক্তিকে সরদার নিযুক্ত করলেন. আর এরপর এই বিশেষ বার ব্যাক্তিকে সাম দেশে পাঠালেন. সঙ্গে এটিও নসিহত করলেন যে তোমরা দেখে এসো সেই দেশের বর্তমান অবস্থা কেমন?
যাহাতে করে আমরা সেই মোতাবেক যুদ্ধের প্রস্তুতি করতে পারি. কিন্তু দোস্ত যখন এই বিশেষ বারো জন ব্যক্তি একটি লম্বা সফর অতিক্রম করে সাম দেশে পৌঁছাতে সফল হলো তো এই ব্যাক্তিগুলোর সর্বপ্রথম সাক্ষাৎ ওয়াজ বিন অনেকের সঙ্গেই হলো. যে ভীষণ বা এবং শক্তিশালী ছিল, আজমিন অনেকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতেই এই ব্যক্তিরা ভীষণই ঘাবড়ে গেল, আর যখন অজবিন অনাথও এই মানুষদের উদ্দেশ্য বুঝতে পারল তখন এদেরকে ধরে ফেলল এবং নিজের কপ্জাতে ধরে নিল, নিজের স্ত্রীর নিয়ে গিয়ে বলল যে দেখো এরা সকলে মিলে আমার সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য এসেছে.
আজ বিন অনাথ সেই বিশেষ বড় ব্যক্তিকে মাটিতে এমন ভাবে দাঁড় করালো যাতে করে এই মানুষগুলোকে পায়ের দ্বারা পদদলিত করে পিঁপড়ের মতো মারতে পারে. কিন্তু তাহার স্ত্রী সেই মানুষগুলোকে বাঁচিয়ে দিল আর সেই মানুষগুলো ভীষণই ভয় পেয়ে যাওয়ার কারণে সঙ্গে সঙ্গে কাছে ফিরে আসলো. ফিরে এসে হযরত মুসালি হিসালামকে সামদেশের সেই কম দের সম্বন্ধ জানালো যারা ভীষণের শক্তিশালী এবং ক্ষতরনাক ছিল এর সঙ্গে সঙ্গে সেই মানুষগুলো এটিও বললো যে সেখানকার ফল ফলালিও ভীষণই বড় বড় বেদানার একটি ছোট্ট দানাই একজন মানুষের পেট ভরে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট.
সেই বারো জন ব্যক্তিকে এমনটি নাসিউদ দিলেন যে তোমরা নিজের জাতির সামনে সাম দেশের সেই সমস্ত সৌন্দর্য গুলি বর্ণনা করবে যেগুলি তোমরা দেখে এসেছো. তাদের সামনে এমনটি কখনোই আলোচনা করবে না যে, ড়া ভীষণই ক্ষতর নাক এবং বিপজ্জনক. আর যদি তারা আসল ঘটনা জেনে যায় তাহলে হয়তো কখনোই যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হবে না. কিন্তু এমন নসিহতকে শুধুমাত্র দুজন সর্দারের সঠিকভাবে পালন করলো. েখি যে দশজন ছিল তারা তাহাদের কওমের সামনে এমনটি বলে দিল যে সাম দেশের কমরা ভীষণই শক্তিশালী এবং ভীষণই ক্ষতর নাক.
যাহাদেরকে পরাজিত করা আমাদের এই সাধারণ মানুষের পক্ষে একেবারে অসম্ভব. এমন ভয়ঙ্কর বর্ণনা শোনার পর বনি ইসরায়েল রা যুদ্ধে যেতে অস্বীকার করলো. আর যেটির সম্বন্ধে আগে থেকেই ভয় করেছিলেন. বনি ইসরাইলরা সাম দেশের সেই কম দের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য মানা করে দিয়েছিল. কিন্তু তবুও হযরত মুসা আলাইহি সালাম আপনার কম দেরকে খুবই বোঝালেন আবার সঙ্গে এটিও বললেন যে আমার সঙ্গে সামদেশকে জিতে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন. তোমরা আগে থেকেই কেন মনবল হারিয়ে ফেলছো. কিন্তু এরপরও আপনার কমরা আপনার যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলো না,
বরং এর সঙ্গে সঙ্গে কে তারা এমনটিও বলে ফেললো যে, তুমি আর তোমার রব গেয়েই সেখানে যুদ্ধ করো, আমরা তো বসে থাকবো যদিও দোস্তো বনি ইসরাইলের এই নাফরমানের কারণে সেই মানুষগুলোর উপর আল্লাহর গজব এসেছিল. যাহার জন্য সেই মানুষগুলো এর পরের চল্লিশ বছর পর্যন্ত জঙ্গলে জঙ্গলে ঘুরে বেরিয়েছিল. শেষ পর্যন্ত নিজের কম দের এই যুদ্ধকে অস্বীকার করতে দেখে মুসাল্লাহ সালাম এবার সামদেশে রওনা হয়ে গেলেন.
এই খতন না ক্ষমের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য যেমনই মুসালিহি সালামের সঙ্গে অনেকের সাক্ষাৎ হলো তো তখন ওই অজভিন অনাথ এমনটি সিদ্ধান্ত নিল যে মুসা সালামকে নিজের পায়ের দ্বারা পিষে মারবে. আর এরই সঙ্গে সঙ্গে কে বললো যে, তুমি সেই সর্দার. ফেরাউনকে নীল দরিয়াতে ডুবিয়েছিলে. তোমাকে কেন এত সহজে ছেড়ে দেবো? আর এমনটি বলার সঙ্গে সঙ্গে উপর হামলা করতে শুরু করলো.
আজ বিন অনেকের উপর প্রতিক্রিয়া হামলা করলেন. আর হামলাটি এমনই ছিল যে, মূসা আলাইহি সালাম কিছুটা লাফিয়ে উঠে সেই অজগীন অনায়কের মাথাতে, নিজের লাঠির দ্বারা আঘাত করলেন. আর এই লাঠির আঘাত এতটাই ভয়ঙ্কর ছিল যে, অজবিন অনাথ নামের এই ব্যক্তি সেখানেই শুয়ে পড় মানে তাহার সেখানেই মৃত্যু হয়ে গেল.
ঐতিহাসিকরা বলে থাকেন যে আজ বিন অনেকের মৃত্যুর পরও তাহার হাড়গুড়ও সেই ময়দানে কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত পড়েছিল. যে ময়দানে তাহার মৃত্যু হয়েছিল. যদিও দোস্ত আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম যে আজ বিন অনাকের এই কাহিনী বড় বড় ইতিহাসের বইয়ে লেখা থাকলেও অনেক সমস্ত মানুষও আছেন যারা এটিকে বিশ্বাসও করতে চান না. আর তারা বেশিরভাগই অমুসলিমরাই হয়ে থাকেন.
তাহলে আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করুন আল্লাহ হাফেজ।
0 Comments