প্রাচীন মিশরের অজানা কয়েকটি বিস্ময়কর তথ্য ---- Al hadi

 


প্রাচীন মিশরের ইতিহাস বহু অজানা তথ্যে ভরপুর. পিরামিডের কথা থেকে শুরু করে মিশরীয়দের আজব সব রীতিনীতি. সবকিছুই খুবই রোমাঞ্চকর. এই পোস্ট টিতে প্রাচীন মিশনের এমন তথ্য আপনাদের জানাবো যা হয়তো আপনি আগে কখনো শোনেননি. তো চলুন শুরু করা যাক 


বিড়াল প্রাচীন মিশরের সবচেয়ে পবিত্র পশু ছিল. এবং বিড়ালের প্রতি মিশরীয়দের আবেগ ছিল অনেক বেশি. যদি কারোর পালিত বিড়াল মারা যেত, তাহলে সেই চোখের ভ্রু কেটে ফেলতো বিড়ালের মালিক. এমনকি মানুষের মতোই মৃত বিড়ালের মুমি বানানো হতো. আর যদি কেউ বিড়াল হত্যা করতো তবে তার মৃত্যুদণ্ড হত.

মৃতদেহ মমি করার পদ্ধতি মিশরীয়রা আবিষ্কার করেনি. এই পদ্ধতি মিশরীয়দের থেকে আগে দক্ষিণ আমেরিকায় প্রচলিত ছিল এটা তখন প্রমাণিত হয় যখন উনিশশো ছত্রিশ সালে দক্ষিন আমেরিকায় প্রায় ছ হাজার বছর পুরোনো একটি মুমি পাওয়া যায় 

 ্প্রাচীন মিশরের রাজারা মৌমাছি বা কোন পোকামাকড়ের হাত থেকে বাঁচার জন্য এক অদ্ভুত পদ্ধতি ব্যবহার করতেন. রাজার দু একজন পরিচালকের গায়ে মধু লাগিয়ে দেওয়া হতো. আর রাজা যেখানে যেত এরাও রাজার সাথে যেত আর মৌমাছি বা পোকামাকড় এই মধুর প্রতি আকৃষ্ট হতো রাজা নিজেই সুরক্ষিত থাকতেন. 

এমন একটা কথা প্রচলিত আছে যে প্রাচীন মিশনের রাজারা যখন মারা যেতেন. তাদের পরিচালকদেরও তার সাথেই মমি করে দেওয়া হতো. তবে এটি একটি ভুল ধারণা. ইতিহাসে দু-একবার এমনটা করা হলেও এটি কিন্তু কোন রকম রীতি ছিল না.

 পৃথিবীর সর্বপ্রথম মৃত্যুদণ্ড মিশরে দেওয়া হয়েছিল. আজ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার বছর আগে. এক যুবককে ম্যাজিক দস্যু করার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়. তাকে বিষ পান করে বা ছুরি দিয়ে আত্মহত্যা করতে বলা হয়েছিল. 

 প্রাচীন রাজা তুতেন খামেন যে জুতো পড়তেন. তাতে তার শত্রুর  চিত্র থাকতো. এর উদ্দেশ্য ছিল তিনি যেখানেই যান না কেন তার পায়ের নিচে শত্রুদের পিষে দিতে থাকবেন. 


 পাঁচ প্রাচীন ড়ে মৃতদেহকে মমি করা হতো. এই মুমি বানাতে ব্যবহৃত হতো অনেক লম্বা ব্যান্ডেজ. যদি এই ব্যান্ডেজ খোলা হয় তাহলে এটি প্রায় দেড় কিলোমিটার পর্যন্ত লম্বা হবে. 

ছয়. মিশরে মুমি করার আগে মৃতদেহ সব  অঙ্গ গুলোকে বের করে নেওয়া হত. যেমন ফুসফুস, লিভার, কিডনি, পাকস্থলী ইত্যাদি. তবে এরা হৃদপিণ্ড বের করত না. কারণ প্রাচীন মনে করতেন, মানুষের হৃদপিণ্ডে তাদের আত্মা থাকে. 

সাত পেটের বাঁ দিক থেকে কেটে, শরীরের ভেতরের সমস্ত অঙ্গ গুলোকে তারা বের করে নিত. আপনি জানলে আশ্চর্য হবেন, মৃতদেহের নাক থেকে একটি লম্ব হুক ঢুকিয়ে brain টেনে বের করে নেওয়া হতো. এই অঙ্গগুলোকে যে কারণে বের করে নেওয়া হতো, তা হল, শরীরের এইসব অঙ্গগুলোতেই সব থেকে আগে পচন ধরে. যাতে মৃত শরীর বহুদিন পর্যন্ত ভালোভাবে থাকতে পারে তাই এই পদ্ধতি ব্যবহার করতেন প্রাচীন বিশুঢুরা. 

 

 পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো বস্তু  মিশরে পাওয়া গেছে. যা প্রায় পাঁচ হাজার পাঁচশো বছর পুরোনো. এই বস্ত্রটিকে তারা তারখানটিস বলতো. 

প্রাচীন মিশরে হাইরোগলিপি ব্যবহার করা হতো. কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এই লিপিতে কোন সরবর্ণ বা ভায়েল ছিল না. তাই আমরা আজও উদ্ধার করতে পারিনি এই লিপি তারা কিভাবে উচ্চারণ করতো?

  মিশরে গিজার পিরামিডের সামনে স্পেন্সের মূর্তি দেখা যায়. তার নাক ভাঙ্গা. একটি কথা এমন প্রচলিত আছে. নেপোলিয়ানের সৈন্যরা স্পেনসের নাক ভেঙে দিয়েছিল. কিন্তু নেপোলিয়ান মিশরে যাওয়ার বহু বছর আগেই পিরামিডির চিত্র বানানো হয়েছিল. এবং সেখানে স্পেনসের নাক ভাঙ্গা ছিল. সত্যি বলতে কেউ জানেই না ড়টি কিভাবে ভেঙে গিয়েছিলো? 

  

প্রাচীন মিশরে বিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় পানীয় ছিল. মিশরীয়রা এটিকে পুষ্টির প্রধান উৎস ভাবতো. এবং রোজ এটিকে পান করত. এমনকি তারা এটিকে কোন কিছু কেনাবেচার ক্ষেত্রে টাকার মতো ব্যবহার করতো. 

 প্রাচীন মিশরীয়রা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনেও বিশ্বাস করতো. তাই তারা মদ তৈরি করা ব্যাক্তির মূর্তি বানিয়ে মোমির সাথেই কবর দিয়ে রাখত যাতে মৃত্যুর পর পর তার কাছে অনেক মত বা বিয়ার থাকে 

 পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন. আজ এতটুকু আবারও বিদায় নিচ্ছি সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে, আল্লাহ হাফেজ । 

Post a Comment

0 Comments