খলিফা হারুন উর রশিদের শাসনামলে দুর্ভিক্ষের কাহিনী __ শিক্ষনীয় ঘটনা ।

📌তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন। প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । 🙏🙏 অথবা follow বাটনে ক্লিক করে follow দিয়ে রাখেন , যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ 


Dear readers, if there is any kind of spelling mistake here, you will see it with beautiful forgiveness. Everyone will be fine and healthy, you can click on the black bell icon next to the allow button. 📌 Or click follow button and keep following, So that you get as soon as you upload each of our posts. Thank you all 



  আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা. আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন. 


খলিফা হারুন রশিদ, আব্বাসী বংশের পঞ্চম খলিফা ছিলেন. আব্বাসী বংশীয়রা অনেক যুগ ধরে ইসলামিক সাম্রাজ্য শাসন করেছিলেন. কিন্তু এদের মধ্যে শুধুমাত্র রশিদ সবচেয়ে বেশি সাফল্যের সাথে সাম্রাজ্য পরিচালনা করেছিলেন.



 হারুন রসুদের শাসন আমলে একবার অনেক বড় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়. সমর্কন, মর্কাস ও বাগদাদ গুফা পর্যন্ত এই দুর্ভিক্ষের প্রভাব পরে. এই দুর্ভিক্ষ থেকে নিজের রাজ্যকে বাঁচানোর জন্য হারুন রশিদ সকল ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন. তিনি সকলের জন্য খাদ্যের গুদাম খুলে দিয়েছিলেন. প্রজাদের কর মাফ করে দিয়েছিলেন.


 সমগ্র রাজ্যে লঙ্গরখানা করে দিয়েছিলেন. এমনকি অনেকের কাছে প্রজাতির জন্য সাহায্য পর্যন্ত চেয়েছিলেন. এতো কিছু করার পরও রাজ্যের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যর্থ হন. একদিন রাত্রে হারুন রসের দুশ্চিন্তায় ঘুমাতে পারছিলেন না. এই অবস্থায় তিনি তার মন্ত্রী ইয়াহিয়াবিন খালিদকে ডেকে পাঠালেন. ইয়া ইয়াবিন খালিদ শুধুমাত্র রশিদের মন্ত্রী ছিলেন না. তিনি হারুন রশিদের গুরুও ছিলেন. 



ইয়াহিয়াবিন খালিদ হারুন রশিদকে ছোটবেলা থেকে শিক্ষা প্রদান করে বড় করে তুলেছিলেন. সেই রাতে হারুন রসিদ তার মন্ত্রী ও শিক্ষককে বললেন ওস্তাদজী. আপনি আমাকে এমন কোন গল্প বা ঘটনা বলুন. যেটা শুনে আমার অশান্ত মন একটু শান্তি অনুভব করবে. যা আমার সকল দুশ্চিন্তা গুলোকে একটু হ্রাস করবে.


 এই কথা শুনে ইয়াহবিন খালিদ একটু হাসলেন. এবং বললেন হে বাদশা, আমি কোন এক নবীর একখানা বই থেকে একটি ঘটনা করেছিলাম. এই ঘটনাটিতে রয়েছে দুনিয়ার বাস্তবতা, ভাগ্য ও সর্বশ্রেষ্ঠ, আল্লাহর ইচ্ছা ও ক্ষমতার অদ্ভুত সংমিশ্রণ. আপনার অনুমতি থাকলে আমি আপনাকে ঘটনাটি বলতে পারি. 


বাদশাহ অনুমতি দিলেন. ইয়াহিয়া বিন খালেদ ঘটনাটি বলা শুরু করেন. তিনি বলেন একবার এক বানর সফরে বের হয়. সেই বানরের একটি বাচ্চা ছিল. তার সামনে একটি বিশাল জঙ্গল পড়ে. সে তার বাচ্চাকে নিয়ে ওই জঙ্গল পার হতে পারছিল না তাই বানরটি বাঘের কাছে যায়. এবং বলে হুজুর আপনি তো এই বোনের বাদশা. আমি আমার বাচ্চাকে জঙ্গল নিয়ে পার হতে পারছি না. তাই আমি আমার বাচ্চাকে আপনার হেফাজতে রেখে যেতে চাই.



 বাঘ এই কথা শুনে রাজি হয়ে গেলো এবং বানরের বাচ্চাটিকে নিজের পিঠে বসিয়ে নিল. এরপরে বানর নিজের সফরে বের হয়ে গেল. বাঘ প্রতিদিন বানরের বাচ্চাটিকে কাঁধে বসিয়ে জঙ্গলে সকল কাজ করতে লাগলো. একদিন বাঘ বাচ্চাটিকে নিয়ে জঙ্গলে ঘুরছিল হঠাৎ একটি চিল আকাশ থেকে এলো. আর বানরের বাচ্চাটিকে বাঘের পিঠ থেকে নিয়ে উড়ে চলে গেল.


 বাঘ তখন বানরের বাচ্চাটিকে বাঁচানোর জন্যে চিলের পেছনে ছুটল. আর চিলকে ধরার অনেক চেষ্টা করলো. কিন্তু কিছুতেই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে পারলো না এতটুকু বলে ইয়াহিয়াবিন খালিদ দীর্ঘশ্বাস নিলেন. 


এবং আমার বলা শুরু করলেন. কিছুদিন পরে বানর ফেরত এলো. এবং বাঘ্যে তার বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করলো. বাঘ তখন খুব লজ্জিত হয়ে জবাব দিল. তোমার বাচ্চাটিকে চিল নিয়ে গেছে এটা শুনে বানরটি খুব রেগে গেল. আর উচ্চস্বর করে বলল তুমি কেমন বাদশা. তুমি কারো আমানতের হেফাজত পর্যন্ত করতে পারলে না? তুমি কিভাবে? এই পুরো জঙ্গলের দায়িত্ব নেবে. এসব শুনে বাঘ, খুব দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলল. আমি তো জমিনের বাচ্চা যদি জমিনের কোনো বিপদ তোমার বাচ্চার দিকে আসতো তাহলে আমি অবশ্যই তার প্রতিকার করতে পারতাম. 


এবং তোমার বাচ্চাকে রক্ষা করতে পারতাম. কিন্তু এই বিপদটা এসেছিল আকাশ থেকে. আর আকাশ থেকে আসা বিপদ শুধুমাত্র আকাশ ওয়ালাই থামাতে পারে ঘটনাটি বলার পরে ইয়াহিয়াবিন খালিদ বলেন হে বাদশা সালামত দুর্ভিক্ষের এই বিপদটিও আকাশ থেকে এসেছে.


 এটা যদি জমিনের কোনো বিপদ হতো তাহলে তো আপনিই প্রতিকার করতে পারতেন. কিন্তু এই বিপদ আকাশ থেকে এসেছে. তাই এই ক্ষেত্রে আপনি বাচ্চা না হয়ে আপনি ফকির হয়ে যান. দেখবেন এই বিপদ আপনি আপনি থেমে যাবে.


 প্রিয় বন্ধুরা. দুনিয়াতে বিপদ দুই ধরনের হয়ে থাকে. এক আসমানী বিপদ এবং দুই জমিনের বিপদ. জমিনের বিপদগুলো মানুষ নিজের মধ্যে আলোচনা ও বিভিন্ন কৌশলের মাধ্যমে সমাধান করতে পারে. কিন্তু আসমানি বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আল্লাহর দরবারে মাথা নত করা ছাড়া দ্বিতীয় কোনো উপায় সহায়ক হবে না. 


এবং আল্লার কাছে ক্ষমার ভিক্ষা চাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না এরপর ইয়াহিয়া বিন খালিদ বলেন হে বাদশা সালামত. আসমানী বিপদ থেকে ততক্ষণ পর্যন্ত রক্ষা পাওয়া সম্ভব নয়. যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষ আল্লার কাছে ক্ষমা চেয়ে তাকে সন্তুষ্ট না করতে পারে. 


তাই আপনিও এই বিপদের মোকাবিলা আপনি বাচ্চা হয়ে করতে পারবেন না তার চেয়ে ভালো আপনি ফকির হয়ে যান এবং আল্লাহর দরবারে মাথা নত করুন. তৌবা করুন. এবং আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা করুন. দুনিয়ার সকল সমস্যা ও তার সমাধানের মধ্যে এতটুকুই দূরত্ব থাকে যতটুকু চায় নামাজ ও মাথার মধ্যে হয়ে থাকে. কিন্তু আফসোস আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান করতে সাত সমুদ্র পার করতে পারি. কিন্তু যাই নামাজ ও মাথার সামান্য দূরত্ব অতিক্রম করতে পারি না. 


তো বন্ধুরা আজ তাহলে এই পর্যন্তই. আপনারা ভালো থাকবেন. সুস্থ থাকবেন. আল্লাহ হাফেজ 


৭📌তথ্যটি সবাইকে জানাতে সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করুন। প্রিয় পাঠকগণ এখানে কোন ধরনের বানান ভুল ত্রুটি থাকলে সুন্দর ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন । সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন , পাশে থাকা কালো বেল আইকন এ ক্লিক allow button এ ক্লিক করে রাখতে পারেন । 🙏🙏 অথবা follow বাটনে ক্লিক করে follow দিয়ে রাখেন , যাতে আমাদের প্রত্যেকটি পোস্ট আপলোড করার সাথে সাথে আপনি পেয়ে যান । সবাইকে ধন্যবাদ আল্লাহ হাফেজ 


Dear readers, if there is any kind of spelling mistake here, you will see it with beautiful forgiveness. Everyone will be fine and healthy, you can click on the black bell icon next to the allow button. 📌 Or click follow button and keep following, So that you get as soon as you upload each of our posts. Thank you all 


Post a Comment

0 Comments