▶️ বিলাসী কবিতার পাঠ পরিচিতি অথবা মূলভাব । ---- বিলাসী কবিতার লেখক পরিচিতি । -------Alhadi HB

 


সাহিত্য পাঠ পাঠ - পরিচিতি শরৎচন্দ্রের “ বিলাসী ” গল্পটি প্রথমে প্রকাশিত হয় ' ভারতী ' পত্রিকায় ১৩২৫ বঙ্গাব্দের ( ১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ ) বৈশাখ সংখ্যায় । “ ন্যাড়া ” নামের এক যুবকের নিজের জবানিতে বিবৃত হয়েছে এ গল্প । এই গল্পের কাহিনিতে শরৎচন্দ্রের প্রথম জীবনের ছায়াপাত ঘটেছে । 


“ বিলাসী ” গল্পে বর্ণিত হয়েছে ব্যতিক্রমধর্মী দুই মানব - মানবীর চরিত্রের অসাধারণ প্রেমের মহিমা , যা ছাপিয়ে উঠেছে জাতিগত বিভেদের সংকীর্ণ সীমা । গল্পে সংঘটিত একের পর এক ঘটনা এবং বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে সংঘাতের মাধ্যমেই কাহিনি অগ্রসর হয় । ঘটনার দ্বন্দ্ব - সংঘাতের মধ্য দিয়ে কাহিনিতে গতি সঞ্চারিত হয়েছে । লেখক কোন অবস্থান থেকে কাহিনি বলছেন , সেটা অনেক সময় কাহিনি বর্ণনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । লেখক সর্বদর্শী অবস্থান থেকেও কাহিনি বর্ণনা করতে পারেন ।


 সেক্ষেত্রে তিনি সবগুলো চরিত্র ও ঘটনা নিরপেক্ষ অবস্থান থেকে বর্ণনা করেন । যেমনটি দেখা যায় সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্র ' লালসালু ' উপন্যাস এবং মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের “ মাসি - পিসি ” গল্পে । পক্ষান্তরে গল্পটি উত্তম পুরুষের ভাষ্যেও বর্ণিত হতে পারে । এক্ষেত্রে গল্পে আমি , আমাকে ইত্যাদি সর্বনাম এসে যায় । এরকম ক্ষেত্রে কখনো কখনো লেখক নিজেই কাহিনির একটা চরিত্রের ভূমিকা নেন , হয়ে ওঠেন কথক । “ বিলাসী ” গল্পে লেখক সেই ভূমিকা গ্রহণ করেছেন । 


বর্তমান সংকলনের “ অপরিচিতা ” , “ আহ্বান ” ও “ তাজমহল ” গল্পে উত্তমপুরুষের ভাষ্য গৃহীত হয়েছে । “ বিলাসী ” গল্পের নাম চরিত্র কর্মনিপুণ , বুদ্ধিমতী ও সেবাব্রতী বিলাসী ; শরৎসাহিত্যের অন্যান্য উজ্জ্বল নায়িকাদের মতোই একজন । যে প্রেমের জন্যে নির্দ্বিধায় বেছে নিয়েছে স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ আর তার প্রেমের মহিমাময় আলোয় ধরা পড়েছে সমাজের অনুদারতা ও রক্ষণশীলতা , জীবনের নিষ্ঠুর ও অশুভ চেহারা । বিলাসী ৪. এই i . ii .




বিলাসী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লেখক পরিচিতি রাজস্র চট্টোপাধ্যার ১৮৭৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই সেপ্টেম্বর পশ্চিম বাংলার হুগলি জেলার দেবানন্দপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতার নাম মতিলাল চট্টোপাধ্যায় , জননী ভুবনমোহিনী দেবী । বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই উপন্যানিকের ছেলেবেলা কাটে দারিদ্র্যের মধ্যে ।

 চব্বিশ বছর বয়সে মনের খোঁকে সন্ন্যাসী হয়ে গৃহত্যাগ করঙ্গিন শরচ্ছন্দ্ৰ সংগীতজ্ঞ হিসেবে খ্যাতির সূত্রে ঘটনাচক্রে এক জমিদারের বন্ধু হয়েছিলেন তিনি ; জীবিকার তাগিদে দেশ ছেড়ে দিয়েছিলেন বর্না মুহূকে অর্থাৎ বর্তমান নিরাননারে । রাজেন্দ্র তাঁর জীবনের নানা অভিজ্ঞতা ও বিচিত্র সব মানুষের চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে । বিশেষ করে সমাজের নিচু তলার মানুষ তাঁর সৃষ্ট চরিত্রে অপূর্ব মহিমা নিয়ে চিত্রিত হয়েছে । কথাশিল্পী শরৎচন্দ্রের শিল্পীমানাসের মৌলাদেশিষ্ট্য মানবতা ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা । 

ত রচনা কুন্তলীন পুরস্কারপ্রাপ্ত “ মন্দির ” নামে একটি গল্প । তাঁর বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে : ' দেবদার , বিনাজ , ' চরিত্রহীন , ' শ্রীকান্ত ' , ' গৃহদাহ ' , ' দেনাপাওনা ” ইত্যাদি । এসব উপন্যাসে বাঙালি নারীর প্রতিকৃতি অঙ্কনে তিনি অসামান্য দক্ষতা দেখিয়েছেন । তাঁর বহু উপন্যাস ভারতবর্ষের বিভিন্ন ভাষার অনুদিত ও ফারিত হয়েছে । 


তাঁর কয়েকটি উপন্যাস বিদেশি ভাষারও অনূদিত হয়েছে । সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতি হিসাবে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে জগত্তারিণী স্বর্ণপদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৩৬ সালে তাকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি প্রদান করে । পরার ১৯৩৮ খ্রিস্টাব্দের ১৬ ই জানুয়ারি কলকাতায় মৃত্যুবরণ করেন । The 97


Post a Comment

0 Comments